ব্যাপক কংক্রিট নির্মাণের জন্যে বাস্তুতন্ত্র এ আঘাত চারধাম প্রকল্প গড়ে ৫৫ হাজার গাছ কাটা হয়েছে।
অমল গুপ্ত ,৮ আগস্ট ,কান্দি জেল রোড : এযাবৎ কালে এত বৃষ্টি দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে চেরাপুঞ্জির মেঘ যেন ঘরের দুয়ারে এসে গেল।মুর্শিদাবাদ সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ ২৪ ঘণ্টায় আকাশের মুখ ভার।অনবরত মেঘ জমছে।। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি আগাম নোটিশ না দিয়েই। তিলপাড়া বারেজ বড় ফাটল সৃষ্ট হয়েছে বন্যা শুরু হয়েছে।। উত্তরা খন্ড জেলার উত্তর কাশী ধরালি, সুখী টপ ইত্যাদি জনপদ এ হরপা বান ধস পাহাড়ি গ্রাম গঞ্জ ভেসে যাচ্ছে।বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। দার্জিলিং, কালিম্পং সিকিম প্রভৃতি পাহাড়ি রাজ্যে উন্নয়নের নামে ব্যাপক কংক্রিট নির্মাণ বহু পাহাড় ভেঙে টানেল তৈরি হচ্ছে। সেবক থেকে কালিম্পং পাহাড় ভেঙে টানেল রেল লাইন তৈরি হচ্ছে।হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে পাহারগুলিতে ধস নামাচ্ছে।সিকিম ,দার্জিলিং উত্তরাখণ্ড সব পাহাড়ি অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ ,যেকোন সময় ধস নামছে।পাহাড় ,গাছ কেটে ফেলে সড়ক টানেল নির্মাণ চলছে। উত্তরা খন্ড সিকিম , দার্জিলিং পাহাড়ি অঞ্চলে বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ার কাজ চলছে।ব্যাপক হারে কংক্রিট নির্মাণের ফলে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতি হচ্ছে। সরকার উন্নয়নের নামে ব্যাপক হারে প্রকৃতি ধ্বংস মেতেছে। অসম মেঘালয় ,নাগাল্যান্ড মিজোরাম ইত্যাদি উত্তর পূর্বের পাহাড় গুলি ভাল নেই।পাহাড়গুলোতে ধস নেমে থাকে। অধিকাংশ ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চল। এই অঞ্চলেই অসমের পাহাড় লাইন জোর করে ট্রেন চালানো হচ্ছে।অধিকাংশ ভূমিকম্প এলাকা।প্রতিদিন ধস নামছে। বিকল্প লাইনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে? লাম ডিং - শিলচর রেল লাইন বন্ধ করে লঙ্কা থেকে বিকল্প লাইন ছাড়া পাহাড় লাইন কে বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে না বলে রেল ইঞ্জিনিয়ার দের আশঙ্খা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। এই পাহাড় লাইন কংক্রিটের টানেল নানা কর্মকান্ডে সেই বস্তু তন্ত্র এ ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রকৃতি বিরোধী কাজ প্রকৃতি মেনে নেব না প্রতিশোধ নেবে। যেমন উত্তরা খন্ড দার্জিলিং সিকিম নিচ্ছে। ব্যাপক হারে সবুজ ধ্বংস বৃষ্টি কমে গেছে। উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার শুধু গাছ কাটে ,সড়ক টানেল নির্মাণ করে গাছ লাগান না। সেই পাহাড় প্রকৃতি ধংসের করুণ পরিণতি উত্তরা খন্ড ,সিকিম দার্জিলিং ।ভু বিজ্ঞানীরা অভিযোগ করেছে ১২০০০ কোটি টাকা খরচ করে চারধাম প্রকল্প ,এই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির জন্যে দায়ী।৬৬০ হেক্টর বনভূমি উজাড় করা হয়েছে ,৫৫ হাজার গাছকাটা হয়েছে।এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে।উত্তর পূর্বের মিজোরাম রেল সংযোগ হচ্ছে ৫১ মিলিমিটার রেল লাইন বসাতে৪৮ টি টানেল নির্মাণ করা হয়েছে।অসমের পাহাড় লাইনের মত ভূমিকম্প প্রবন সরকার কোনো নিয়ম মানছে না। প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ করছে। অসমের পাহাড়। লাইন বারবার ধস নামছে।ট্রেনবন্ধ হচ্ছে। আবার ধস নেমেছে।
Comments
Post a Comment