অসমীয়া - বাঙালি হিন্দু অসমের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ : হিমান্ত বিশ্ব শর্মা

অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড১৮ জুলাই : অসমের দুর্গাপুজো যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অসমের বাঙালি হিন্দু অসমীয়া জনগোষ্ঠী একসঙ্গে মিলেমিশে করে থাকে। অসমের  সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সামিল হয়ে গেছে বাঙালি হিন্দুরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "শুধু বাঙালি মুসলিমদের  তুষ্টিকরন রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন।" তার যদি  বাঙালিদের প্রতি ??এতই দরদ তবে কেন  বিশ্বের যেকোন স্থানে অত্যাচারিত  হওয়া  হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্যে করা কেন্দ্রীয় আইন কা  নাগরিকত্ব আইন  টি মানছেন না কেন? এই আইন বলছে পাকিস্থান ,বাংলদেশে ,আফগানিস্থান  সহ পাঁচটি দেশের বাঙালি হিন্দু সহ অন্যান্য হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষ জীবন জীবিকা সংকটের কবলে পড়ে যদি ভারতে আসতে বাধ্য  হয়।তবে ভারত সরকার সেই সব বিপদ গ্রস্থ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় নাগরিকত্বের সব ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে। এই নাগরিকত্ব সংশোধনী কেন্দ্রীয় আইন টি পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল সরকার মানবে নাবলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।তাদের বক্তব্য  এই আইনটি  জাতিগত বৈষম্য মূলক। এর মধ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠী কে কেন  অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি।কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য বিশ্বে  ৫৭ টি মুসলিম রাষ্ট্র আছে।পাকিস্থান বাংলদেশে  মুসলিম  রাষ্ট্র।ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্বে  বাঙালি হিন্দু ,জৈন  পার্সি সহ পাঁচ হিন্দু জনগোষ্ঠীর   রক্ষা কবচ  হিসাবে অত্যাচারিত জনগোষ্ঠীকে  জীবন জীবিকা সুরক্ষিত করতে আইন টি ভারত সরকার  কার্যকরী করেছে।  কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য  মুসলিম জনগোষ্ঠীও যদি সাম্প্রদায়িক  ।নির্যাতনের মুখোমুখি হন তবে তাদেরও  নিরাপত্তা বিধানের সংস্থান রাখা হয়েছে আইন তি তে। প্রসঙ্গত প্রতিবেশী দেশ  ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলে  হাসিনার আমলে  একসময় দাবি করা হলেও  প্রকৃত  পক্ষে মুসলিম রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্র একসময় ২০ শতাংশ হিন্দু বাঙালির বাস ছিল।আজ  ২০ কোটি থেকে কমে কমে  দুই কোটির তলে নেমে গেছে।   বাংলদেশে নানা সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের বলি হয়ে ভারত সহ এই উপমহাদেশে  চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। কেবল ১৯৭১ সালে  বাংলাদেশের ৩০ লাখ ,বাঙালি যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বাঙালি হিন্দু ,৪লাখের বেশি বাঙালি হিন্দু রমণী ধর্ষিতা হয়েছে বলে  বাংলদেশে বেতার এর দাবি উড়িয়ে দেওয়া যাবেনা।  এত বড় আত্মত্যাগ জীবন দানের বিনিময়ে বাংলদেশে স্বাধীনতা এসেছে।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী  এই স্বাধীনতার স্থপতি বলা যেতে পারে।তিনি গরীব দেশটিকে স্বাধীন করে   পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকলাখ সেনাকে  মাথা নিচু করে অস্ত্র করতে বাধ্য করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের হাতে জয়ের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আর আজ  বাংলাদেশীরা  ভারতকে অস্বীকার করতে চাইছে।বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের প্রতিমূর্তি ভাঙচুর করছে। ভারতের প্রবাদ পুরুষ  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর  উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী রের জন্ম ভিটা গুঁড়িয়ে দিচ্ছ। বড় লজ্জা।এর পরেও   বাংলাদেশীরা  পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের নানা রাজ্যে মাথা নিচু করে চোরের মত মাথা গোঁজার স্থান করে নিচ্ছে।আর হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট আমল থেকে লাঠি ঝাটা খেয়ে  আজ তৃণমূল রাজত্বে  চরম দুর্দশা অবহেলার বলি, বাঙালি  হিন্দু  জনগোষ্ঠী। বিজেপি রাজত্বে  পরিস্থিতি এত খারাপ হওয়ার কথা ছিল না। অসমের বিজেপি রাজত্বে  এন আর সি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখের মধ্যে ১৪ লাখ বাঙালি হিন্দু।বাদ পড়েছে।  এর প্রধান কারণ বাঙালি হিন্দু  দের মেরুদণ্ড বড়ই দুর্বল।  অন্যায়ের প্রতিবাদ করার  সৎসাহস হারিয়ে ফেলেছে।  সার্বিক অবক্ষয় দুর্নীতি গ্রাস করেছে।  অসমের মুখ্যমন্ত্রী কিছু ভুল বলেন নি।  তবে সেই রাজ্যে বাঙালি হিন্দু নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।আজও ডিটেনশন ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হল না।যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।





 

Popular posts from this blog

মহালয়ার পবিত্র তিথিতে প্রকাশ পাবে বাংলা শারদ সংখ্যা নয়া ঠাহর

রূপনগর সেবা মন্দিরের পাবলিক নামঘর উন্মোচন

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলাতে সত্যজিৎ রায়ের জন্মভিটা রক্ষার আহ্বান ভারতের