ইলিশ উৎসব
ইলিশ মজলিশ
ইলিশ ভাজা, ভাপার সঙ্গে মেঘনা মাঝিদের ইলিশ, কুমড়ো পাতায় আম-আচার ইলিশের মতো কিছু নতুন পদ দিয়ে মেনু সাজালেন মান্টিস্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁ চেনের কর্ণধার।
পদ্মার ইলিশ তিন প্রকার - পদ্ম চন্দনা আর গুর্তা ইলিশ। এ দিকে আবার গঙ্গায় খোকা ইলিশ আর ইলিশ। এক সময়ে গঙ্গার ধার ধরে ছিল ইলিশের ঘাট। তক্তা ঘাট, বিচালি ঘাট, বিচালি ঘাট, বাবুঘাটে তখন ইলিশ উঠত কিলো দরে। সকাল-সকার পরিচালকের মাথায় ঝুড়ি নিয়ে কলকাতার বাবুরাও পৌঁছে যেতেন ঘাট থেকে ইলিশ কিনতে। শহুরে বাবু-বিবিদের স্বাদকোরকও এমন ছিল যে, ইলিশ খেয়েই বলে দিতে পারতেন তা কোন ঘাটের? নাকি মাঝগঙ্গার।
ইলিশের গুণ তার স্বাদে হলেও, এর রূপেও বিদ্ধ আপামর বাঙালি। ১৮১৭ সনে রচিত রামলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটকের এই মাছের রূপের বর্ণনা পাওয়া যায় সংলাপে রাজপুত্তুর মশাই রাজপুত্তুর। কী যে গড়ন যেন ননীর চাপ থেকে কেটে তুলেছে। ইলিশের মতো কন্টকাকীর্ণ মাছ নিয়ে এমন প্রেম মনে একমাত্র বাঙালিদের পক্ষেই সম্ভব।
Comments
Post a Comment