প্রণব আচার্য্য লিখিত বৈষ্ণব গ্রন্থ প্রকাশ
বৈষ্ণব গ্ৰহু প্রকাশ
প্রকাশিত হল প্রনব আচার্য লিখিত গৌড়ীয় বৈষ্ণবের আকরগ্ৰহু
শ্রীলগদাধর পন্ডিত গোস্বামী শ্রীশ্রীচেতন্যসংকৃতি ও শ্রীপাট ভরতপুর মুর্শিদাবাদ। শ্রীগদাধর পন্ডিত গোস্বামী কাব্যে উপেক্ষিতের মত। মহাবৈষ্ণবরা আত্মপ্রচারের ধার ধারেন না। নাম যাশকে ঘৃণা করেন। অথবা ষোড়শা শতকে গৌড়ীয় বৈষ্ণবেরঅধ্যাত্ম সংস্কৃতির যাত্রাপথে শ্রীগদাধর অনেতম উজ্জ্বল স্তম্ভ। যা প্রাচীন শ্রীচৈতন্যর জীবনী সাহিত্যের পাতায় পাতায় ভাস্বর হয়ে রয়েছে। শ্রীচৈতন্যর আবান্য-দেহান্তরের সাথি ছিলেন শ্রীগদাধর। বারো বছর বয়স থেকে একসঙ্গে বিদ্যাশিক্ষা, গৃহত্যাগ, অধ্যাত্ম সাধনা ও নীলাচলে লীলাপর ছিলেন দু'জনে। শ্রীচৈতন্যস্বয়ং কাউকে দীক্ষা দেননি। তংকাশীন বৃন্দাবনের ষড় গোস্বামীর অধিকাংশ সহ দিকপাল বৈষ্ণবদের দীক্ষা বা শিক্ষা দিয়েছেন শ্রীগদাধর।
শ্রীগদাধর তত্ত্ব ও জীবনীর সমস্ত তথ্য এ গ্ৰন্থের দুই মলাটে ধরা রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই রকম গ্ৰন্থের প্রয়োজন ছিল বৈষ্ণব সমাজে। মোট আটটি অধ্যায়ে বিধৃত রয়েছে এ গ্ৰন্থের বিষয়গুলি। সঙ্গে রয়েছে মূল্যবান কিছু ছবি। প্রথম অধ্যায়ে বিবৃত হয়েছে শ্রীগদাধর পন্ডিত গোস্বামীর জীবনী শ্রীচৈতন্যসহ অন্যান্য মহাসধকদের সঙ্গে শাস্তোধৃত লীলাদি নীলাচলের শ্রীতোটা গোপীনাথ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে শ্রীগদাধর ও শ্রীচৈতন্য তত্ত্ব, তাঁদের ধ্যান মন্ত্রাদি, অষ্টকাদি। তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীগদাধর সহ সমকালীন অন্যান্য মহাজীবন সহ শীলাদি। চতুর্থ অধ্যায়ে শ্রীগদাধরের বিশ্রুত শিষ্য শিষ্যানুশিষ্যদের সংক্ষিত জীবনী ও তাঁদের রচিত গ্ৰন্থাদির আলোচনা। পঞ্চম অধ্যায়ে বর্নিত শ্রীগদাধরের ক্ষেত্র সন্ন্যাসস্থ নীলাচলে স্মৃতিধন্য স্থানাদির বিবরণ। ষষ্ট অধ্যায়ে যদুনন্দ দিস ও তাঁর রচিত শ্রীমদ পন্ডিত গোস্বামী শাখানির্নয়ামৃত বিশ্রুত অনুগ্ৰহুটি তুলে ধুরা হয়েছে।
সপ্তম অধ্যায়ে শ্রীপাট ভরতপুরের ইতিহাস, অনুপুঙ্খ সেবা বৃতান্ত, নিভাস্ব সেবা ঐতিহ্য মেলে ধরা হয়েছে। অষ্টম অধ্যায়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সমস্ত প্রচলিত শ্রীমদ্ভগবদগীতা গীতা সাতশত শ্লোকে আধারিত। ভরতপুর শ্রীপাট-এ শ্রীগপাধর পন্ডিতের স্বসস্ত লিখিত সাতশত পঁয়তাল্লিশ শ্নোকের গীতাটি রয়েছে। মহাভারতোক্ত গীতার শ্নোক সংখ্যা ও তাই। বিস্তারিত আলোচনা সহ লুপ্ত পঁয়তাল্লিশটি শ্লোক অর্থ সহ এ গ্ৰন্থে তুলে ধরা হয়েছে। যা অনুসন্ধুংস পাঠক গবেষক সবার কৌতূহল মেটাতে পারে। গ্ৰন্থটিতে সহায়তা করেছেন জ্যোতির্ময় গোস্বামী। এবং আকাশ বহরমপুর থেকে প্রকাশিত।
Comments
Post a Comment