ভারতের স্বাধীনতায় মুসলিম দের অবদান আছে কি?

স্বাধীনতা হিন্দুর রক্তে, দেশভাগ মুসলমানের ছুরিতে! 
 বিমল দাস ।
স্বাধীনতা হিন্দুদের রক্তে অর্জিত হয়েছে, মুসলমানদের ছুরি দিয়ে দেশকে ভাগ করা হয়েছে!
ব্রিটিশ বাংলায় মুসলমান ছিল ৫৪%। তাহলে প্রশ্ন স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলায় শহীদদের তালিকায় একজনও মুসলমান নেই কেন?
কমপক্ষে ২৭%, না-হয় ১০% শহীদ থাকা উচিত ছিল কিন্তু  কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই কেন এই শহীদের মিছিলে?

একই চিত্র পাঞ্জাবেও, সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল মুসলমান, কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন হিন্দু ও শিখরাই। শহীদদের তালিকায় এখানেও কোনো  মুসলমান নেই!

তবু পাঠ্যবই বলে, “হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা এনেছে।” কিন্তু ইতিহাস কি তাই বলে?
এই মিথ্যে বুলি আজ আমাদের সন্তানদের মুখে গুঁজে দিয়ে তাদের মনন, আত্মপরিচয় ও গর্ববোধ ধ্বংস করা হচ্ছে।
কারণ ভারতের স্বাধীনতার প্রতিটি পদক্ষেপে, রক্ত দিয়েছে হিন্দুরাই। শহীদের নাম বললেই প্রমাণ মেলে-

ক্ষুদিরাম বসু ১৮ বছরের তরুণ,  ফাঁসির দড়িতে ঝুললেন। প্রফুল্ল চাকী গ্রেফতার এড়াতে নিজেই মাথা গুলি দিয়ে  উড়িয়ে দেন। বিনয়, বাদল, দীনেশ – ব্রিটিশ অফিসার সিম্পসনকে রাইটার্স বিল্ডিং-এ ঢুকে গুলি করে হত্যা করেন।
সূর্য সেন (মাস্টারদা) – চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে ধরা পড়েন, ব্রিটিশরা দাঁত উপড়ে, হাড় ভেঙে তাঁকে হত্যা করে।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রামের শহরতলীর  ব্রিটিশ ক্লাবে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে আত্মবিসর্জন দেন।
ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব – লাহোর ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে মৃত্যু বরণ করেন।
বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, বাঘা যতীন, হেমচন্দ্র কানুনগো – সকলেই হিন্দু বিপ্লবী।

তাহলে প্রশ্ন— এই শহীদদের তালিকায় একজন মুসলমান কোথায়?

বিপ্লবীর হাতে অস্ত্র, মুখে “বন্দে মাতরম্”, চোখে ভারতের মুক্তির স্বপ্ন, এই জায়গাটিতে মুসলমানদের ইতিহাস শূন্য।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল সূর্য সেনের নেতৃত্বে ১৫০ বিপ্লবী চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার আক্রমণ করেন।
মুসলমান বিপ্লবীর সংখ্যা? শূন্য।
তখন চট্টগ্রামের জনসংখ্যার ৮০% মুসলমান।
তাহলে কোথায় গেল ওদের দেশপ্রেম?
সত্যি বললে, মুসলমানরা তখন “ভারতের স্বাধীনতা” নয়, “মুসলিম স্বার্থ”-কে পবিত্র বলে মানত।

 আন্দামান সেলুলার জেল— স্বাধীনতার জন্য আত্মবিসর্জন কারীদের কষ্টময় কারাগার।
এখানে বন্দি ছিলেন বারীন ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, ভূপেশ গুপ্ত, সচ্চিদানন্দ সান্যাল, যোগেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সকলেই হিন্দু। এই তালিকায়  একজনও মুসলমান নেই!

মুসলমানের ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের জন্য রক্ত, ভারতের বিরুদ্ধে ছুরি!

১৯৪৬ সালের Direct Action Day মুসলিম লীগের ডাকে ১৬ আগস্ট কলকাতা রক্তাক্ত হল।
নেতৃত্বে ছিলেন হোসেন সুরাবর্দি।                     এক হাজারেরও বেশি হিন্দু হত্যা।              হাজার হাজার হিন্দু নারী গণধর্ষিতা।
তার রেশ গিয়ে পড়ে নোয়াখালিতে, শুরু হয় হিন্দু গণহত্যা ও ধর্মান্তর।

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর বোন সরলা বসু নোয়াখালীতে  পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন—
 “ব্রিটিশের অত্যাচার আমরা দেখেছি, কিন্তু নোয়াখালীর মুসলমানদের হাতে হিন্দুদের উপর যে নৃশংসতা হয়েছে, তার সঙ্গে কোনও তুলনা হয় না।”
এই হল মুসলমানের স্বাধীনতায় অংশগ্রহণ, হিন্দুর গলা কেটে পাকিস্তান আদায়!

১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবে মুসলিম লীগ পাকিস্থান চায়।
কিন্তু কংগ্রেস তবুও ওদের ছেড়ে যায়নি বরং নেহরু-গান্ধী তোষণ করেই দেশটাকে ভাগ করে দিল।
১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হল, কিন্তু মুসলমান থেকে গেল ভারতের ভেতরে সংখ্যালঘুর দাবিদার হয়ে!
শহীদের রক্ত দিয়ে হিন্দুরা ভারতকে স্বাধীন করল কিন্তু দেশভাগে ছুরি চালাল মুসলমান, স্বাধীনতার চুক্তিপত্রে  সই করল কংগ্রেস।

পাঠ্যবইয়ে মিথ্যার বৃষ্টি,
আজও NCERT ও CBSE বইয়ে পড়ানো হয়,
“Maulana Azad, Khan Abdul Ghaffar Khan contributed immensely to the freedom struggle.”
আসল কথা হলো,আব্দুল গফফার খান ছিলেন আফগান পাখতুন। ভারতের স্বাধীনতা তার জাতিগত স্বার্থে।
মৌলানা আজাদ ছিলেন গান্ধীবাদী আপোসের সঙ্গী। কোথাও অস্ত্র নেই, আত্ম বলিদান নেই।
মুসলমানের ভূমিকা, স্বাধীনতা সংগ্রামে শূন্য, ইতিহাসে মুখ্য!

স্বাধীনতার সংগ্রামে মুসলমান—অস্ত্র তোলেনি। শহীদ হয়নি।
বিপ্লব করেনি।
বরং ব্রিটিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশভাগ করে পাকিস্তান আদায় করেছে। তবু পাঠ্যবইয়ে মুসলমানের গৌরবগাথা একটি নির্ভেজাল প্রোপাগান্ডা। 
                                                এখন সত্য বলার সময় এসেছে! স্বাধীনতা হিন্দুদের! মুসলমানদের নয়!
যাদের নেই আত্মত্যাগ, নেই রক্ত, নেই আত্মপরিচয়— তাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে অধিকার নেই।  আজ ইতিহাস বিকৃত হয়ে হিন্দুর রক্তকে মুছে দিয়ে মুসলমানদের নায়ক বানানো হচ্ছে।
এটা শুধু বিকৃতি নয়, আত্মঘাতী!
হিন্দুদের উচিত  গর্জে ওঠা। নইলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিপ্লব নয়, বিকৃতি আর গোলামি শিখে বড় হবে।

#বিমল দাস

Comments

Popular posts from this blog

মহালয়ার পবিত্র তিথিতে প্রকাশ পাবে বাংলা শারদ সংখ্যা নয়া ঠাহর

শুভ মহালয়া তিথিতে ১৮ তম "নয়া ঠাহর পুজো সংখ্যা প্রকাশ

প্রণব আচার্য্য লিখিত বৈষ্ণব গ্রন্থ প্রকাশ